মনের ক্ষত
-অমিত কুমার জানা
অদৃশ্য থাকলেও মোটেও নয় অননুভূত,
সে অন্তরের গভীরে ক্ষত।
কর্মব্যস্ততার ভিড়ে সে আপাত অন্তর্হিত হয়,
অবকাশের আলতো হাওয়ায় জ্বলে ওঠে স্বশিখায়।
ভস্মাবৃত বহ্নির ন্যায় এর রূপ
নশ্বর দেহাবরণে আবৃত থাকে এর স্বরূপ।
অতিথি সম আমোদ-প্রমোদ খেলা করে মনের আঙিনায়,
ক্ষতর ঔদ্ধত্য আপাত প্রশমিত হয়,
মন খুশির দোলনায় দোলায়িত হয়,
কালস্রোতের তাড়নায় সে অতিথিরা বিদায় নেয়,
ক্ষতরা তখনই সগর্বে মাথা উঁচু করে।
বস্ত্র রাখার আলমারিতে সযত্নে রাখা ন্যাপথলিনও উবে যায় একদিন,
তেমনই ক্ষতরাও যদি উবে হতো বিলীন!
বেদনার্ত ব্যাকুল মন,
নীরবে করে প্রতিষেধকের অন্বেষণ।
ক্ষত নিরাময়ের প্রতিষেধক।
দেহের ক্ষতের দাগ একে একে মুছে যায়,
অন্তরের ক্ষত কেন আমৃত্যু বেঁচে রয়?